Friday, August 30, 2019

রিজিক-রুজি-রোজগার নিয়ে যত টেনশন তার ১০০০ ভাগের ১ ভাগ টেনশনও যদি আল্লাহ ভয়ে ভীত হয়ে মানুষ করতো,তবে এক এক জন অলি আল্লাহ হয়ে যেত। রিজিকের টেনশন দুর করার আমল:

বড়ই আফসোসের বিষয় হলো রিজিকের জন্য বর্তমান যুগে যতবেশী মানুষ রাতদিন পেরেশানীতে আছে বিগত কোন যুগে কোন জামানায় এমনটি ছিল না। আল্লাহ তা’য়ালা প্রত্যেক প্রানীর রিজিকের জিম্মাদার তবুও মানুষ এই রিজিকের পিছনে সবচেয়ে বেশী সময় ব্যায় করে।এই রিজিকের জন্য আল্লাহর হক ভুলে যায়। আল্লাহর এবাদত ভুলে যায়।মানুষের হক ভুলে যায়।যত ধরনের অপরাধ আছে তা করতে দ্বিধা বোধ করে না।অধৈর্য্য হয়ে এই রিজিকের জন্য সব ধরনের হারাম পন্থা অবলম্বন করে।দারিদ্রতাকে মানুষ যেভাবে ভয় পায়,টাকা পয়সা হাতছাড়া হয়ে যাবে,গরীব হয়ে যাবে এই ভয় মানুষকে যেভাবে আতংকিত করে,তার হাজার ভাগের যদি একভাগও মানুষ আল্লাহকে ভয় পেত,আল্লাহকে ভয় করতো তাহলে এক এক জন আল্লাহর অলি হয়ে যেত।
এক সাহাবীর মাধ্যমে বিশ্বনবী (সা:) এর নব্যুয়তীর জবান থেকে এই দো’য়াটি পাওয়া যায়। এই দো’য়াটির আমল করলে আপনার কাছে এত বেশী রিজিক আসবে,কোথায় রাখবেন দিশা পাবেন না।
এবার আসুন,হাদিসটি শুনি এবং দোয়াটি মুখস্ত করে ফেলি। একজন সাহাবী রাসুল (সা:) এর কাছে এসে বললেন ”ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:) দুনিয়া আমার প্রতি পৃষ্ট প্রদর্শণ করেছে,
তখন নবী করিম (সা:) বললেন,তোমার কি ঐ তাসবীহ স্মরণ নেই যে তাসবীহ ফেরেশতা এবং মাখলুকের, যার বরকরে রুজি রোজগার প্রদান করা হয়।যখন সুবেহ সাদিক উদিত হয়, তখন এই তসবিহটি এই দোয়াটি ১০০ বার পাঠ করবে।:-
সুবহান আল্লাহি ওয়া বিহামদীহি, সুবহান আল্লাহিল আজিম,আসতাগফিরুল্লাহ,
-দুনিয়া তোমার নিকট অপমানিত হয়ে চলে আসবে।” (আল হাসাইসুল কোবরা ২য় খন্ড ২৯৯ পৃষ্ঠা)।
ঐ সাহাবী চলে গেলেন,কিছুদিন পুনরায় হাজির হয়ে আরজ করলেন,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:) দুনিয়া আমার নিকট এত বেশী আসছে আমি হতবাক কোথায় লুটাবো-কোথায় রাখবো আমি দিশা পাচ্ছি না।
বি:দ্র:পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামাজ) আদায় করতে হবে।

No comments:

Post a Comment

ছোট্ট একটি তাসবিহ কিন্তু সাওয়াব-ফজিলত অনেক বেশি।

উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী (সা.) ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। ত...