ইসলামী অভিবাদন হলো اسلام عليكم বলা। বাংলা উচ্চারণ হলো “আসসালামু ‘আলাইকুম”। এর অর্থ “আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।”
সালাম হলো ঈমানের অঙ্গ এবং জান্নাতে প্রবেশের একটি রাস্তা।
সালাম হলো ঈমানের অঙ্গ এবং জান্নাতে প্রবেশের একটি রাস্তা।
একজন মুসলমান অন্য একজন মুসলমানের সাথে সাক্ষাৎ করলে সালাম দিয়েই কথোপকথন শুরু করেন। তবে অত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার হল বেখেয়ালে বা তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা সঠিক উচ্চারণে সালাম দেইনা।
আমরা প্রতিদিন অনেককে এমনভাবে সালাম দিতে শুনি: স্লামালাইকুম, সালামালাইকুম, আস্লামালাইকুম, আস্লাআলাইকুম, সেলামালাইকুম, ইস্লামালাইকুম, অয়ালাইকুম।
আবার উত্তর দেওয়ার সময়ও ভুলভাবে উত্তর দিতে শুনি: অলাইকুম সালাম, অলাইকুম আসসালাম, অলাইকুম ইত্যাদি।
ইসলামের শেআর ও প্রতীক পর্যায়ের একটি আমল হচ্ছে সালাম। এটি একটি দুআ। আর তাই এর সহীহ উচ্চারণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া বেশ জরুরী। বিশুদ্ধ উচ্চারণ না হলে অনেক সময় কথার অর্থ বদলে যায়। আর তাই, সঠিক অর্থ বজায় রাখতে বিশুদ্ধ উচ্চারণ আবশ্যক।
সালাম বিষয়ে ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত,হুজুর ( সা.) এর দরবারে এক লোক এসে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বসে পড়ল। হুজুর ( সা.) তার উত্তর দিয়ে বললেন, সে দশটি নেকি পেয়েছে। তারপর আরেকজন এসে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলে বসে গেল। হুজুর ( সা.) তার উত্তর দিয়ে বললেন, সে বিশটি নেকি পেয়েছে। অতঃপর আরেকজন লোক এসে ‘আসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ পর্যন্ত বলে বসে গেল। রাসূল(সা.) তার উত্তর দিয়ে বললেন, সে ত্রিশ নেকি পেয়েছে। –আবু দাউদ ৫১৯৫, তিরমিজি ২৬৯০
সালামের জবাব উত্তম অথবা একইরকম জবাব দেওয়া:
=======================================
আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন অভিবাদনের জবাব যেন তার চেয়ে সুন্দরভাবে অথবা সমান পরিমাণে দেই। তিনি বলেন,
=======================================
আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন অভিবাদনের জবাব যেন তার চেয়ে সুন্দরভাবে অথবা সমান পরিমাণে দেই। তিনি বলেন,
“যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তোমরাও অভিবাদন জানাও তারচেয়ে উত্তমভাবে অথবা তারই মতো করে ফিরিয়ে দাও।” [সূরা নিসা (৪):৮৬]
বেশিরভাগ আলেমগণের মতে
“আসসালামু ‘আলাইকুম” এর জবাবে বলা উচিত “ওয়া’আলাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ”।
“আসসালামু ‘আলাইকুম” এর জবাবে বলা উচিত “ওয়া’আলাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ”।
“আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ”র জবাবে বলতে হবে “ওয়া’আলাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”।
“আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”র জবাবে এর চেয়ে উচ্চস্বরে ও আনন্দিত স্বরে বলতে হবে “ওয়া’আলাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”।
সর্বোপরি অপর মুসলিম ভাইকে সালাম দেওয়া আমাদের দায়িত্ব আর সালামের জবাব দেওয়া আমাদের উপর তাদের অধিকার।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার রয়েছে। সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সাথে শরিক হওয়া, দাওয়াত কবুল করা ও হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলা।” (রিয়াদ্বুস সলিহীন, ৭ম খণ্ড)
মোটকথা হলো, সালাম ইসলামের একটি চিহ্ন এবং এটি মুসলিমদের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বকে মজবুত করে। আসুন সালামের আদবসমূহ ঠিক রাখার মাধ্যমে এর সর্বোচ্চ ফযিলত আদায় করে নেই।

No comments:
Post a Comment