Wednesday, September 4, 2019

আজ রাত বারোটায় মৃত্যু হবে,জানতে পারার পর কি করবেন ?

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর মৃত্যু হবে, জানার পর আপনার কি হুশ থাকবে ? তাড়াতাড়ি ওযু করে জায়নামাজ নিয়ে নামাজে দাড়িয়ে যাবেন। এই নামাজই আপনার জীবনের শেষ নামাজ। মনে মনে নিয়ত করে ফেলবেন,আজ জনমের মতো মাফ চাইবো আল্লাহর কাছে। সারা জীবন আকাম কুকাম যা করছি সব কান্না কাটি করে মাফ করাইয়া ফালামু আল্লাহর কাছে।
আপনার ওযু করাটা হবে খুব চমৎকার সহীহ শুদ্ধ। জীবনে এমন সহীহ শুদ্ধভাবে ওযু করেন নাই। খুব চমৎকার ভাবে পাঞ্জাবী পরে,আতর লাগিয়ে,টুপি পড়ে মছল্লার মধ্যে দাড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করবেন। ঐদিনের নামাজে আপনার কোন তাড়াহুরো নাই। আজীবন নামাজে তাড়াহুড়ো করেছেন কিন্তু ঐদিনের নামাজে কোন হাড়াহুড়ো নাই। ঐদিনের রুকুটা আপনার জীবনের শ্রেষ্টতম রুকু হয়ে যাবে। ঐদিনের সেজদাটা আপনার জীবনের শ্রেষ্টতম সেজদা হয়ে যাবে। ঐদিন আপনি সিজদায় পরে চোখের পানি দিয়ে জায়নামাজ ভিজিয়ে দিবেন। কারন আপনি জেনে গেছেন, এটাই আপনার জীবনের শেষ নামাজ।
আমরা যদি আমাদের প্রতিটি ওয়াক্তকে জীবনের শেষ ওয়াক্ত মনে করতাম তবে: * অনেক নেকী কামাতে পারতাম, * পাপ থেকে বিরত থাকতে পারতাম, * হঠাৎ অনির্ধারিত অথচ নিশ্চিত মৃত্যুর পূর্বে কিছু কামাই করে কবরে নিয়ে যেতে পারতাম।
আরো ত্রিশটা মিনিট বেঁচে থাকবো,যেখানে এমন কোন গ্যারান্টি নাই,সেখানে কিসের ভরসায়,কার কথায় আল্লাহকে ভুলে গিয়ে আমরা উদাসীন জীবন যাপন করতেছি।
হে আল্লাহ, তুমি আমাদের মাফ করো, যথাসময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দাও - আমিন।

No comments:

Post a Comment

ছোট্ট একটি তাসবিহ কিন্তু সাওয়াব-ফজিলত অনেক বেশি।

উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী (সা.) ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। ত...