Friday, September 6, 2019

সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলত।

সূরা ইখলাসের উপকারীতা ও ফজিলত সম্পর্কে মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ ও নাসায়ীতে একাধিক হাদিস রয়েছে। হজরত ওকবা ইবনে আমের বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (স.) বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জিল, জবুর এবং কোরআন সব কিতাবেই অবতীর্ণ হযেছে।
রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেয়ো না, যতক্ষণ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা বলেন, সেদিন থেকে আমি কখনও এ আমল পরিত্যাগ করিনি (ইবনে কাসীর)। তা ছাড়া আবু দাউদ, তিরমিজী এবং নাসায়ীর এক দীর্ঘ বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পাট করে তা তাকে বালা-মসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট হয় (ইবনে কাসীর)।
সুরা ইখলাস মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৪টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আল ইখলাস সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদ (সা:) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আয়াতে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কুরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়।
১. সুরা ইখলাস কুরআন শরীফের সবচেয়ে সম্মানিত সুরার মধ্যে একটি। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে সেই ব্যক্তি কুরআনুল কারীম এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব লাভ করবে।
২. যে ব্যক্তি দশবার পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা নিজ কুদরতি হাতে জান্নাতের মধ্যে বিশেষ মর্যাদাশীল একটি মহল তৈরি করবেন।
৩. যে ব্যক্তি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিবেন।
৪. যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।
সূরা এখলাস দৈনিক ২০০ বার অজুর সাথে পড়লে ১০টি ফায়দা !!
দৈনিক ২০০ বার অজুর সাথে পড়লে ১০টি ফায়দা।
১) আল্লাহ তায়ালা তার রাগের ৩০০ দরজা বন্ধ করে দিবেন।
২) রহমতের ৩০ দরজা খুলবেন।
৩) রিজিকের ৩০০ দরজা খুলবেন।
৪) মেহেনত ছাড়া গায়েব থেকে রিজিক পৌছাবেন।
৫) আল্লাহ তায়ালা নিজের এলেম থেকে এলেম দিবেন।আপন ছবর থেকে ছবর দিবেন।আপন বুঝথেকে বুঝ দিবেন।
৬) ৬৬বার কুরআন খতম করার ছাওয়াব দিবেন।
৭) ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করবেন।
৮) জান্নাতের মধ্যে ২০টি মহল দিবেন, যেগুলো ইয়াকুত মার্জান ও জমজদের তৈরী এবং প্রত্যেক মহলের ৭০ হজার দরজা হবে।
৯) ২০০০রাকাত নফল পড়ার ছাওয়াব দিবেন।
১০) যখন তিনি মারা যাবেন ১,১০,০০০ ফেরেশ্তা তার যানাযায় শরিক হবেন।
সুবহানাল্লাহ
আল্লাহ আমাদের জানার এবং বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।

No comments:

Post a Comment

ছোট্ট একটি তাসবিহ কিন্তু সাওয়াব-ফজিলত অনেক বেশি।

উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী (সা.) ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। ত...